জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক নারীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পৌর এলাকার বাউসী চন্দনপুর এলাকায়।

ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন নারীকে শ্লীলতাহানি করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার(২০ অক্টোবর) রাতে তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে তার প্রবাসী সমন্ধী হাফিজুর রহমান এর স্ত্রী চাম্পা আক্তারকে শ্লীলতাহানি করে।

ঘরে নেটওয়ার্ক ভালভাবে না পাওয়ায় ভুক্তভোগী চাম্পা আক্তার তার প্রবাসী স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা বলার জন্য ঘরের দরজা খুলে বাহিরে যান। এ সুযোগে উৎপেতে থাকা পৌর কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। ফোনে কথা বলা শেষ হলে ভুক্তভোগী ঘরে প্রবেশ করা মাত্র পৌর কাউন্সিলর ভুক্তভোগীর হাত ধরে মুখ চেপে ধরে। পরে তাকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। ভুক্তভোগীর ধস্তাধস্তিতে পৌর কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন পালিয়ে যায়।

অন্য আরেক সমন্ধীর স্ত্রী কল্পনা আক্তার জানান,কয়েক দিন পূর্বে বৃষ্টির মধ্যে দুপুর বেলা ঘরে প্রবেশ করে একই কায়দায় হাত ধরে মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। তার বাধার মুখে ও ডাক চিৎকারে পৌর কাউন্সিলর দৌড়িয়ে পালিয়ে যান।

ভুক্তভোগীর শাশুড়ি মজিরন জানান, আমরা মোশাররফ কাউন্সিলরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমরা সরকারের কাছে এর বিচার চাই। মোশাররফ কাউন্সিলরের অপকর্মের কারণে তার আপন সমন্ধীর বউকে নিয়ে তার সমন্ধী বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। তার জন্য বাড়ির বউঝিরা কেউ নিরাপদ নন। আমরা ভয় ভীতির মধ্যে জীবন যাপন করছি।সে প্রভাবশালী হওয়ায় কোন প্রতিবাদ করতে পারিনা।

এ ব্যাপারে পৌর কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আমি টিসিবি’র পণ্যের ব্যাপারে সেখানে গিয়েছিলাম। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।